শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন

আপডেট
পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলা, আরাভ খানের বিরুদ্ধে পরবর্তী জেরা ২৩ মে

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলা, আরাভ খানের বিরুদ্ধে পরবর্তী জেরা ২৩ মে

ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলায় আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমানের জেরা অব্যাহত রয়েছে। এদিন তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এবং জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী জেরার জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৯ মে)
এ পর্যন্ত মামলাটিতে ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সুরাইয়া আক্তার কেয়া, রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান। এদের মধ্যে আরাভ ও কেয়া পলাতক আছেন। ‘আমাদের নতুন সময়’কে রাষ্ট্র নিয়োজিত আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

০৭ জুলাই, ২০১৮ বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। ঘটনার তিনদিন পর তার ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ৩১ মার্চ, ২০১৯ এ মামলায় রহমত উল্লাহ, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ওরফে আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয় ওরফে হৃদিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ২৫ নভেম্বর, ২০২১ আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

 

চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা বনানীর ২ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর বাড়ির ওই বাসায় নিয়ে আসামি দিদার, স্বপন, রহমতউল্লাহ পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের হাত-পা বেঁধে ফেলেন এবং ওই তিন আসামির সঙ্গে মিজান, আতিক ও ছারোয়ার যুক্ত হয়ে মামুনকে নির্দয়ভাবে মারতে থাকে। এতে মামুন অজ্ঞান হয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে আসামি কেয়া (রবিউলের স্ত্রী), আফরিন ও মীম বাসা থেকে চলে যায়। রাতের কোনো একসময় সেখান থেকে চলে যায় রবিউলও। গভীর রাতে আসামি আতিক আসামি স্বপনকে ডেকে বলে, “দাদা, দেখেন তো পুলিশ কর্মকর্তার হাত-পা কেমন শক্ত মনে হচ্ছে”। ভোরবেলায় তারা নিশ্চিত হয় যে মামুন মারা গেছে। মামুন মারা যাওয়ার পর রহমত উল্লাহ সবাইকে বলে, মরদেহ গুম না করলে তারা সবাই বিপদে পড়ে যাবে। কারণ, মামুন তার বন্ধু এবং সে মামুনকে ফোন করে ডেকে এনেছে। রহমত উল্লাহর মোবাইল ফোনের শেষ কলটিও তার (মামুন)। তখন স্বপন মোবাইল ফোনে রবিউলকে মামুনের মৃত্যুর বিষয়টি জানায়। স্বপন বলে, “এখন আমরা কী করব? আপনি সকালে এখানে আসেন”।

 

নিচে আসে রবিউল। তার কাছ থেকে বস্তা নিয়ে বাসার ওপরে যায় দিদার। এসময় রহমত উল্লাহ, আতিক ও মিজানকে সঙ্গে নিয়ে বাসার নিচে গিয়ে তার ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি লিফটের দরজার কাছে নিয়ে রাখে। সকাল ৭টার দিকে স্বপন, দিদার ও আতিক মিলে মামুনের মরদেহ লিফটে করে নিচে এনে সবাই মিলে গাড়ির পেছনের অংশে মরদেহ তোলে। পরে সেখান থেকে রবিউলের মোটরসাইকেল অনুসরণ করে রহমত উল্লাহ গাড়ি চালাতে থাকে। খিলক্ষেতের একটি পাম্পে গিয়ে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে রবিউল ফিরে আসে। আর গাড়ি নিয়ে রহমতউল্লাহ যায় গাজীপুরের দিকে। এ সময় রবিউলের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলফোনে কথা বলে দিদার ও স্বপন। গাজীপুরের শিমুলতলীতে দিদার, স্বপন ও আতিক একটি দোকান থেকে ৭ লিটার পেট্রোল কেনে, রবিউল আসামি স্বপনের মোবাইলফোনে টাকা পাঠায়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে উলুখোলা থেকে আবদুল্লাহপুর যাওয়ার পথে একটি বাঁশবাগানে পেট্রোল ঢেলে মামুনের মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর গাড়ি নিয়ে সবাই ঢাকায় ফিরে আসে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |